বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে তিনি আজ (বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর) এ পদে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে আগামী চার (০৪) বছরের জন্য কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়ে একই দিবসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ নিয়োগাদেশ তার যোগদানের তারিখ হতে কার্যকর হয়েছে।
তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী বেতনভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক ২০০২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান এবং দীর্ঘ ৬ বছর অত্যন্ত সুনামের সাথে এ গুরু দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ড. ফায়েজ ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)’-এর ষষ্ঠ চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ৭ মার্চ থেকে ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ বছর পিএসসি’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রফেসর ড. ফায়েজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, তিনি জাতীয় যাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে পাঁচ বছর এবং ফাউন্ডেশন ফর রিসার্চ অন এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসিবে ০৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে ব্যাচেলর এবং ১৯৬৮ সালে একই বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে গবষেণার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্য যান এবং এবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগ থেকে “মাটি: উদ্ভিদ ও পানির মধ্যকার সম্পর্ক” বিষয়ে মাত্র দুই বছরেরও সামান্য বেশি সময়ের মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা জার্নালে তাঁর শতাধিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রেক্ষিতে গত ১১ আগস্ট ২০২৪ ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। এরপর রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।