একবিংশ শতাব্দীর উচ্চ শিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরনে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ (যা ১৯৯৮ সালে সংশোধিত) প্রণয়ন করে। তবে এ আইনটি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানসম্মত শিক্ষা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা, গতিশীলতা এবং সর্বোপরি সু-শাসন নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ পাশ হয়।
বর্তমানে দেশে ঢাকায় ৫২টি এবং অন্যান্য স্থানে ৪৩ টিসহ সর্বমোট ৯৫ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে 1টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা এবং এতদসংক্রান্ত সুযোগ সুবিধাদি গ্রামাঞ্চলের জনগণের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, উচ্চশিক্ষায় দেশের ৩২ লক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় 4 লক্ষ শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অধ্যয়নরত আছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং আর্থিক বিষয়ের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ করে থাকে। এ বিভাগের প্রধান কার্যাবলী নিম্নরূপ:
বিভাগের গঠন : বিভাগীয় প্রধান হিসেবে একজন পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, উপ-পরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের সমন্বয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ গঠিত।