সুশাসন নিশ্চিত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের আহ্বান ইউজিসি’র
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সেবা সহজিকরণ এবং সকল কর্মকাণ্ডে সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইনোভেশন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়ন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ইউজিসি’র ইনোভেশন টিম দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দক্ষতাভিত্তিক উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। যেকোন কাজ দ্রুত, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। পেপারলেস অফিস ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে হলে কাজে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ কোটি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোযোগ দিতে হবে। জাতীয় উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন নিশ্চিত করা ছাড়া এটি সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।
ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে র্যাংকিংয়ে কাঙিক্ষত স্থানে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষা, গবেষণা, সাইটেশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করতে হবে।
ইউজিসি’র প্রোগ্রামার ও ইনোভেশন টিমের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস প্রশিক্ষণ সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে কমিশনের ১৭ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণে সেশন পরিচালনা করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) ফোকাল পয়েন্ট মো. নুর-ই-আলম এবং একই বিভাগের সিস্টেম এনালিস্ট ও ইনোভেশন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জোবায়ের এবং ইউজিসি’র উপপরিচালক ও এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা বিষ্ণু মল্লিক।