এপিএ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান ইউজিসি’র
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) যথাযথ বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসিতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের আজ সোমবার এ আহ্বান জানান।
সভায় প্রফেসর ড. আবু তাহের বলেন, ফলভিত্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, পরিচালিত উপায়ে কর্মসম্পাদন, সম্পাদিত কর্মের বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যক্তিক মূল্যায়ন, সর্বোপরি সরকারের বিভিন্ন রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়তাই এপিএ-এর মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, এপিএ’র লক্ষ্যগুলো অর্জনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। এছাড়া, সেবা সহজীকরণ ও সাশ্রয়ী করতে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ গ্রহণ করতে হবে। এপিএ সফল বাস্তবায়নকারী ফোকাল পয়েন্টদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি খারাপ ফলের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের তিরস্কারের ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তিনি আহ্বান জানান।
সভায় ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন, যুগ্ম সচিব জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ শাহ আলম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমানে, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক শিবানন্দ শীল এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট গোলাম দস্তগীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের এপিএ বাস্তবায়নে সেরা ০৩টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্রেস্ট ও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রশংসা পত্র প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে শিগগির ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, এপিএ টিমের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করবে ইউজিসি।