বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি বাস্তবায়নের আহ্বান ইউজিসি’র
পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ডি-নথি বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা এবং সমাধানে করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণা নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে নেতৃত্ব দিতে হবে। পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগ এগিয়ে নিতে সকলকে তৎপর হতে হবে। প্রযুক্তির সহায়তায় দাপ্তরিক কাজ দ্রুত, স্বচ্ছ, ও কার্যকরভাবে সম্পাদন করতে হবে। শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডি নথি বাস্তবায়নে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ২০২৬ সাল থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে। ডি- নথি এপিএ’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি বাস্তবায়নে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এপিএ চুক্তি বাস্তবায়নে অনীহা দেখাবে, তাদের বাজেট বরাদ্দও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন।।
তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডি–নথি কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং বিভাগের উপপরিচালক মো. মনির উল্লাহ- এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ডি নথি বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ২০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ডি-নথি ব্যবহারের মাধ্যমে যেকোন স্থান থেকে ফাইল নিষ্পত্তি করা যায়। ফলে কোথাও ফাইল আটকে থাকে না, দাপ্তরিক কাজে গতি বাড়ে। এতে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়ায় অনিয়মের সুযোগ কমে যায়।