Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-রিসোর্সের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান ইউজিসি’র


প্রকাশন তারিখ : 2024-04-30

বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-রিসোর্সের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান ইউজিসি’র

শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-রিসোর্সের ব্যবহার বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

‘টাইগারফেড- এর মাধ্যমে ই-বুকস/ ই-জার্নালে প্রবেশাধিকার’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইউজিসি অডিটোরিয়ামে সোমবার (২৯ এপ্রিল) এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ গবেষণা ও শিক্ষা নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) এ কর্মশালার  আয়োজন করে।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. হাসিনা খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, বিডিরেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌরিত স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের  পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ শামস বিন তারিক টাইগারফেড এর মাধ্যমে ই-বুকস ও ই-জার্নালে প্রবেশাধিকার বিষয়ে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন। 

বিডিরেন ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ই-রিসোর্স রক্ষণাবেক্ষণে খরচ কম, এবং যেকোন সময় ও স্থান থেকে সুবিধামতো ব্যবহার করা যায়। ই-রিসোর্স ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার সংখ্যা ও মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এতে গবেষণার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিশেষ সাশ্রয় হবে। ই-বুকস ও ই-জার্নালে প্রবেশাধিকারে টাইগারফেড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি জানান।

অধ্যাপক হাসিনা খান বলেন, ই-রিসোর্স সুবিধা গ্রহণ করে দেশের গবেষণা খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। কিভাবে গবেষণায় ই-রিসোর্সের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করা যায় সেটি নিয়ে ইউজিসি কাজ করছে বলে তিনি জানান। ই-রিসোর্স ব্যবহারে তিনি গ্রন্থগারিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ‘রিসার্চার্স হ্যাভেন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিডিরেন এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ১৯৫ টি প্রতিষ্ঠানকে তারা নেটওয়ার্ক, ডেটা, হোস্টিং এবং আইডেনটিটি সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে। ইউজিসি’র সহযোগিতায় বিডিরেনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

কর্মশালায় ৬২টি পাবলিক-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থগারিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।