গবেষণা সহযোগিতায় শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান ইউজিসি’র
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণাকর্ম এগিয়ে নিতে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্পোরেট হাউসগুলোর যৌথ উদ্যোগ ব্যতিত শুধু সরকারি অর্থায়নে বৃহৎ গবেষণাকর্ম পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
ইউজিসির আয়োজনে মঙ্গলবার (২১ মে ২০২৪) দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও প্রমাণক ব্যবস্থাপনা এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের খসড়া কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা ও ফিডব্যাক প্রদান বিষয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞলের ২০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কমিটির আহ্বায়ক, ফোকাল পয়েন্টসহ ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা পরিচালনা করেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক ও এপিএর ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ইউজিসি গবেষণা খাতে বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করছে। তবে, গবেষণায় চাহিদা অনুযায়ী এ বরাদ্দ যথেষ্ট নয়। তাই, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্প ও বাণিজ্য সমস্যার সমাধানে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি দেশের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরাও গবেষণার জন্য দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান নিয়ে আসতে পারেন বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, এপিএ কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের অধীনে স্থায়ী এপিএ সেল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে ইউজিসি। এজন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের বিষয়গুলো এপিএ কার্যক্রমে যুক্ত করতে হবে। এপিএর লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করা এবং এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে আন্তরিক হতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনি আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করে গবেষণা খাতে বাজেট বাড়ানোর বিষয়টি ইউজিসি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। হিট ও আইসিএসইটিপি প্রকল্পের মাধ্যমে পারফরমেন্স নির্ভর বাজেটের সূচনা করা হবে বলে তিনি জানান।