বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান ইউজিসি’র
আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা সেবা সহজিকরণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এছাড়া, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান।
ইউজিসিতে সোমবার (১৮ই মার্চ) অনুষ্ঠিত ‘ভেহিক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার’ বিষয়ক দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইউজিসি’র জেনারেল সার্ভিসেস, এস্টেট এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (জেএসইই) পরিচালক জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
জেএসইই বিভাগের সহাকরী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল ইসলাম অপুর সঞ্চালনায় কর্মশালায় কমিশনের আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সুলতাম মাহমুদ ভূইয়া, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রেজাউল করিম হাওলাদারসহ ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অটোমেশন এখন বাস্তবতা। এর ফলে সেবা সহজ হবে, নাগরিকের ভোগান্তি কমে আসবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, পরিবহন ব্যবস্থাপনা একটি জটিল বিষয়। ভেহিক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার চালু হলে পরিবহন ব্যবস্থাপনা সহজ হবে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার চালু করতে হলে এর প্রায়োগিক দিক ও ব্যবহারকারীর সুবিধাদি বিবেচনা করতে হবে।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার কথা। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সকল শিক্ষার্থীর জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য সেখানে যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নমূলক ঘটনা ঘটছে। যৌন হয়রানিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধ করতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন। এছাড়া, তিনি সংবেদনশীল ও মানবিক বাংলাদেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ইউজিসি’র উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার আওতায় স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ভেহিক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার চালু করা এ ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে গাড়ি দ্রুত বরাদ্দ দেওয়া, গাড়ির অবস্থান নির্ধারণ, জ্বালানির ব্যবহারের তথ্য জানা যাবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজ ও ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।