Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ মে ২০২৪

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে একসাথে কাজ করতে আগ্রহী ইউজিসি ও চাইনিজ বিশ্ববিদ্যায়সমূহ


প্রকাশন তারিখ : 2024-05-30

                                      উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে একসাথে কাজ করতে আগ্রহী ইউজিসি ও চাইনিজ বিশ্ববিদ্যায়সমূহ

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বাংলাদেশের শিক্ষার্র্থীদের জন্য চীনের একাধিক প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের সুযোগ তৈরি, দুই দেশের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামসহ যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচনে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং চাইনিজ প্রতিনিধি দল। সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করে খুব শিঘ্রই একটি সমঝোতা স্মারক স্মাক্ষরে একমত হয়েছে দু’পক্ষ।

ইউজিসিতে ০৯ সদস্যের চাইনিজ প্রতিনিধি দলের সাথে ইউজিসি কর্তৃপক্ষের এক মতিবিনিময় সভায় আজ (বুধবার) এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। চাইনিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চীনের হারবিন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির ভাইস ডিন প্রফেসর লিউ শুশেং। ইউজিসি’র গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক ড. মোঃ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবন ব্যতিত দেশের অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন কখনোই সম্ভব হবে না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল তৈরি করা না গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না। তিনি বাংলাদেশর উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে যৌথ সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চাইনিজ প্রতিনিধি দল এবং ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। বর্তমানে ১৭৫টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এ বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে, যৌথ গবেষণা, কারিকুলাম উন্নয়ন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং প্রথমসারির চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে স্কলারশিপ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা গেলে দুই দেশের উচ্চশিক্ষা খাতই উপকৃত হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

চাইনিজ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, চাইনিজ প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও স্কলারশিপের এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। সভায় দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা স্বল্প সময়ের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে একমত পাষণ করেন।