Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd মার্চ ২০২২

কার্যক্রম : স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং, কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগ

স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং এন্ড কোয়ালিটি এস্যুরেন্স বিভাগের কার্যক্রম

 

দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নীতকরণ ও সেসাথে উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করাসহ অব্যাহত উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে ২০১৫ সালে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং, কোয়ালিটি এস্যুরেন্স এন্ড রাইট টু ইনফরমেশন বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে কমিশনের আন্ত:বিভাগীয় সাংগঠনিক কাঠামোগত পরিবর্তনের কারণে ২০১৮ সাল থেকে বিভাগটি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এন্ড কোয়ালিটি এস্যুরেন্স বিভাগ নামে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে অত্র বিভাগ (১) স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং এবং (২) কোয়ালিটি এস্যুরেন্স-এই দুটি অনুবিভাগের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং অনুবিভাগের কার্যাবলী

  • উচ্চশিক্ষা সংশ্লিষ্ট স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ; এক্ষেত্রে কৌশলপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষার ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনার ক্ষেত্রে সুপারিশ প্রণয়ন করা;
  • স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: ২০১৮-২০৩০ এ বর্ণিত ৪১টি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও তদারকিকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
  • বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ইনডিকেটর বা মানদন্ড নির্ধারণ, উক্ত ইনডিকেটর বা মানদন্ডের ভিত্তিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের পারস্পরিক অবস্থান বা মানক্রম নির্ধারণ এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা;
  • দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের রেটিং তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণের উদ্দেশ্যে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বা পরামর্শে সমন্বিত কার্যক্রম সম্পাদনকরণ;
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ইনস্টিটিউটসমূহকে সুসংহত ও আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পসংস্থা ও ডোনার এজেন্সির সাথে গবেষণামূলক কাজে সম্পৃক্ততা সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা;
  • উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কাঙ্খিত উৎকর্ষসাধন, সম্প্রসারণ, মেধা লালনে উৎসাহ প্রদান এবং বিশ্বমানের শিক্ষাদানের জন্য উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা বা পরামর্শ প্রদান করা;
  • উদ্যোক্তা, অর্থলগ্নীকারী, নীতিনির্ধারক এবং গবেষকের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা, আস্থা ও মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে ইনোভেটিভ এডুকেশন ইকো-সিস্টেম প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
  • দেশীয় ও আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং-এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অবস্থান নিশ্চিতকরণে শিক্ষক ও গবেষকগণের জন্য মেধাস্বত্ত্ব লালন, সংরক্ষণ ও চর্চার বিষয়ে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম, কনসালটেটিভ ডায়ালগ ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা;
  • পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতির আধুনিকায়নে আন্তর্জাতিক রেটিংধারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রেডিট ট্রান্সফার এবং ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক বিনিময় কর্মসূচি গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা;

 

কোয়ালিটি এস্যুরেন্স অনুবিভাগের কার্যাবলী

  • শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকরণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে Institutional Quality Assurance Cell (IQAC) গঠনে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও পরামর্শ প্রদান; এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেকটি বিভাগ এবং অনুষদে “স্বীয় মূল্যায়ন” (Self-Assessment) ব্যবস্থা চালুকরণ এবং এর কর্মকান্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ দেশে বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদির আয়োজন করা;
  • দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে Outcome Based Education (OBE) কারিকুলাম চালুকরণ এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ, ডায়ালগ, কনসালটেটিভ ওয়ার্কশপ ইত্যাদির আয়োজন করা;
  • বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সূচারুরূপে পরিচালনার ক্ষেত্রে Quality Benchmarks/Parameters নির্ধারণ এবং তা প্রয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ সেগুলো সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির ব্যবস্থা করা; সেই সাথে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
  • দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মান বিশ্বমানে উন্নীতকরণে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও পরামর্শ প্রদান করা;
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাডেমিক দক্ষতা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ দেশে বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
  • এসডিজি-২০৩০ (SDG-2030) এবং রূপকল্প ২০৪১ (Vision 2041) এর আলোকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বিভিন্ন কোর্স কারিকুলাম পরিমার্জনকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
  • উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন দেশের Best Practices প্রযোজ্যতা অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনুসরণকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
  • IQAC’র কার্যক্রম গতিশীল করতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও প্রশিক্ষণ (দেশীয় ও আন্তর্জাতিক) এর আয়োজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; 
  • বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের Annual Quality Assurance Report (AQAR)-এর ভিত্তিতে অটোমেশনের (সফটওয়্যার) মাধ্যমে Institutional Quality নিবিড়ভাবে মনিটরিং কার্যক্রম বজায় রাখা;
  • বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গুণগত মানসম্পন্ন প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে Institutional Quality Assurance Cell (IQAC) প্রতিষ্ঠা করা;
  • সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষা ও গবেষণাবান্ধব পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করা;
  • বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানে সামঞ্জস্য বজায় রাখার লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম, কনসালটেটিভ ডায়ালগ ইত্যাদির আয়োজন করা;
  • উচ্চশিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা কার্যক্রমের নিবিড় তদারকি, মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সহযোগে সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনা করা;